সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার, কতজন তুললেন জমা দিলেন তারেক রহমান ঢাকা-১৭ আসনে বেস্ট প্রার্থী: পার্থ তাসনিম জারার পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন আখতার পদত্যাগকারীদের বিষয়ে যা বললেন নাহিদ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ কলাপাড়ায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা পটুয়াখালী-০৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন পত্র দাখিল কলাপাড়া পৌর মহিলা দলের মতবিনিময় সভা ও দোয়া মোনাজাত স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার সময় মাঝ নদীতে প্রাণ হারালেন স্বামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতরাও সক্রিয় তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে বঞ্চিত প্রার্থীরা জামায়াতের সঙ্গে জোটে আপত্তি জানিয়ে নাহিদ ইসলামকে এনসিপির নেতাদের চিঠি দেশবাসীকে তারেক রহমানের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ৩০০ ফিটের সব বর্জ্য অপসারণ করবে বিএনপি দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
পিতার বসত ঘর থেকে মেয়েকে জোড় করে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে ভাই-ভাবির বিরুদ্ধে ননদের সংবাদ সম্মেলন

পিতার বসত ঘর থেকে মেয়েকে জোড় করে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে ভাই-ভাবির বিরুদ্ধে ননদের সংবাদ সম্মেলন

Sharing is caring!

পিতার বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে ভাই- ভাবির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ননদ। সোমবার (৩১ মে) বেলা ১২ বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নগরীর কাউনিায়র মৃত আব্দুস সালামের মেয়ে জান্নাত আরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জান্নাত আরা বলেন, আমার পিতা মৃত্যুর পূর্বে আমার নামে বরিশাল পোষ্ট অফিসে তিন বছর মেয়াদী ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা রেখে যান। পিতার মৃত্যুর পর আমার বড় ভাই ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের প্রিন্স সিনিয়র পেষ্ট কন্ট্রোল অফিসার,মোঃ আসিফ ইকবাল খুলনা রাজবাড়ি বালিয়াকান্দি ইউএনও আম্বিয়া সুলতানা নাসরিন আমার ভাবি ও মা আমার পিতার টাকা সম্পদ ও আমার নামের পাশ বই সব কিছু দখল করে নেয়। এসময় তিনি বলেন, গত বছরের ৭ই আগস্ট ১৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত ফারুক আলম এর পুত্র মোঃ সাজ্জাদ উল আলমের সাথে উভয় পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

বিয়ের পর থেকে আমার আপন বড় ভাই ও ভাবি আমার মাকে চাপ দিতে থাকে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবার জন্য। কিন্তু আমি অসুস্থ্য থাকার জন্য স্বামীর বাড়িতে যেতে পারি নাই। আমার স্বামী নিয়মিত আমার বাবার বাড়িতে এসে আমার যাবতীয় ভরন পোষন, ঔষধপত্র ও আনুসঙ্গিক সবকিছু প্রদান করত। এসবের পরও আমার বড় ভাই ও ভাবি আমার মাকে চাপ দিতে থাকে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবার জন্য। এক পর্যায়ে আমার মা ও আমাকে বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দেয়। এরপরই আমি আমার মা, ভাই ও ভাবিকে আমার পিতার রেখে যাওয়া ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকার পোষ্ট অফিসের পাশ বহি ও আমার পিতার নির্মিত কলেজ ও দাদা বাড়ির সম্পত্তির ওয়ারিশী অংশ দাবী করলে তারা বলে, তোমার বিয়ে হয়েগেছে তুমি পৈত্রিক বাড়িতে কিছুই পাবা না।

ভালো ভাবে বাড়ি ছেড়ে চলে যাও নইলে তোমার ও তোমার স্বামীর ক্ষতি হবে।আমি আমার মা, বড় ভাই ও ভাবির রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আমার পিতার অর্থায়নে নির্মিত আমার জন্ম স্থানে বসবাস করি।এরমধ্যে বিভিন্ন সময় আমার মা, বড় ভাই ও ভাবির সাথে আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ও আমার পাশ বই নিয়া ঝগড়া হতে থাকে। এসময় তিনি আরো বলেন, গত রবিবার (২৩ মে) আমি শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগ দেখাতে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিলে আমার আপন মা তার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাসার গেট তালাবদ্ধ করে রাখে। আমি আমার মাকে গেটের তালা খুলে দিতে বললে সে গেটের তালা খুলবে না বলে আমার দিকে তেরে আসে। এর কিছুক্ষন পর আমার স্বামী আমাকে হাসপাতালে নিতে আমার বাড়ির সামনে আসলে আমার মা তৎক্ষনাৎ কাউনিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সাথে সাথে কাউনিয়া থানার এ এস আই জিহাদ তার ফোর্স নিয়া আমাদের বাসায় উপস্থিত হয়।

এরপর এ এস আই জিহাদকে আমার বড় ভাবি ইউএনও আম্বিয়া সুলতানা নাসরিন আমার মার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বহুক্ষন কথা বলে। এরপর এ এস আই জিহাদ আমাকে ও আমার স্বামীকে বাসা ছেড়ে চলে না গেলে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাব হুমকি প্রদান করে। ঐ সময় আমরা ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব মর্তুজা আবেদীন এর বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে ফোনে ঘটনা অবহিত করি, পরে সে রাত ৮.০০ টার সময় তার সাথে দেখা করতে বলে।এরপর আমরা স্বামী স্ত্রী আমতলার মোড় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে গেলে সেখানে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমাদের বক্তব্য শুনে কাউনিয়া থানার ওসিকে ফোন দেন এবং ঐ ঘটনার বিষয় হস্তক্ষেপ করেন।

এরপর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমাকে আমার পিতার বসত বাড়ীতে ফিরে যেতে বলে, কাউনিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। এরপর আমি কাউনিয়া থানার ওসিকে ফোন দিলে সে আমাকে এএসআই জিহাদকে ফোনে জানিয়ে বাসায় চলে যেতে বলে। এরপর আমি অঝও জিহাদকে ফোন দিলে অঝও জিহাদ সম্পূর্ন উল্টো সুরে আমার প্রশ্নের উত্তরে বলে আপনার পৈত্রিক ভিটায় আপনি চলে যাবেন আমাকে ফোন দিয়েছেন কেন? আমি আপনাদের পরিবারের ঘটনার বিষয় জড়াতে চাই না। আপনি আপনার বাবার বাড়ি চলে যান। আমাকে কখনো ফোন দিবেন না। এরপর আমি বাবার বাড়িতে গেলে দেখতে পাই আমার মা বাড়ির সব গেটে তালা দিয়ে রেখেছে। আর ভাড়াটিয়াদের বলে দিয়েছে আমাকে যেন বাসার ভিতরে ঢোকতে দেয়া না হয়। এরপর আমি কাউনিয়া থানার ওসিকে ফোন দিলে ওসি সাহেব আমাকে অপেক্ষা করতে বলে।

সন্ধ্যার পর আমি আমার স্বামীকে নিয়া ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিল কার্যালয় যাই। কাউন্সিলর সাহেব আমার পারিবারিক বিষয় হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহি নয়, এই বলে আমাকে ফিরিয়ে দেয়। আরো বলে দেয় যে, থানা পুলিশ দিয়ে ঘটনার মিমাংসা করতে। এরপর রাত ১০ টা পর্যন্ত আমি গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকি। বারবার গেট ধাক্কাতে থাকি গেট খোলার জন্য। এ পরে আমি কাউনিয়া থানার ওসিকে পুনরায় ফোন দেই। কাউনিয়া থানার ওসি আমাকে কোর্টে গিয়ে মামলা করতে বলে। আর বলে যেন তাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত না করি।

এরপর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বলে এক কাপড়ে স্বামীর সাথে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।আমাকে অসহায় ও দূর্বল পেয়ে আমার ইউএনও ভাবি, ভাই ও আমার মা আমার পৈত্রিক সম্পদ, পোষ্ট অফিসের পাশ বহি এর টাকা আমার বিয়ের স্বর্নালংকার, বিয়ের পয়নামা শাড়ি, জামা কাপড়, আমার সকল পরীক্ষার সনদপত্র ও নম্বরপত্র সহ আমার টাকা পয়সা ও ঘরের সব মালামাল, আমার ঔষধপত্র, ডাক্তারী প্রেসক্রিপসন, বিভিন্ন ডায়গনষ্টিক সেন্টারের পরীক্ষার রিপোর্ট রেখে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বের করে দেন। জান্নাত আরা আরোও বলেন, আমি ও আমার স্বামী নিরাপত্তা হীনতায় ভুগিতেছি। আমাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে খাটানোর ভয় দেখান ভাই ও ভাবি। আমি এঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD